মালয়েশিয়ায় শুধু তিন খাতে প্রবাসী কর্মী নেওয়ায় আপত্তি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৪১

মালয়েশিয়ার শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের বিদেশি শ্রমিক কোটা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারিং (FMM) জানিয়েছে, শুধু কৃষি, বাগান ও খনিশিল্পে কোটা খোলার সিদ্ধান্ত দেশের উৎপাদন ও অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন সম্প্রতি ঘোষণা দেন, বিদেশি শ্রমিক কোটা পুনরায় চালু হবে, তবে তা শুধু তিনটি খাতে এবং ক্ষেত্রবিশেষে অনুমোদিত হবে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে FMM-এর সভাপতি সো থিয়ান লাই বলেন, “শ্রমিক সংকট শুধু এই তিনটি খাতে সীমাবদ্ধ নয়; উৎপাদন, নির্মাণ ও কৃষি খাতেও বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরতা অত্যন্ত বেশি।”
তিনি আরো জানান, উৎপাদন খাত যেমন আসবাবপত্র, রাবার পণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং ইলেকট্রনিকস সাপোর্ট সেক্টরে শ্রমিক সংকট সবচেয়ে বেশি। নতুন বিনিয়োগ ছাড়া পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোটা অনুমোদন না দিলে উৎপাদন ব্যাহত হবে, বিনিয়োগ কমবে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে মালয়েশিয়ার অবস্থান দুর্বল হবে।
২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে উৎপাদন খাত ৩.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রথমার্ধে রপ্তানি বেড়ে ৬৫৬.৫৬ বিলিয়ন রিংগিতে পৌঁছেছে। FMM-এর জরিপে দেখা গেছে, শ্রমিক সংকট ব্যবসার প্রবৃদ্ধি ও স্থায়িত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে।
সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরতা ১৫% থেকে ১০%-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে। তবে FMM বলছে, এই রূপান্তর ধাপে ধাপে হওয়া উচিত। হঠাৎ সীমাবদ্ধতা চাপিয়ে দিলে সংকট আরো বাড়বে।
সো থিয়ান লাই বলেন, “বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ এখন আর সস্তা বা সহজ নয়; নিয়ম-কানুন, ইএসজি মানদণ্ড এবং আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন মেনে চলতে হয়।” তিনি আরো বলেন, স্থানীয়দের আকৃষ্ট করতে বেতন বাড়ানো, সুবিধা দেওয়া ও প্রণোদনা চালু করা হলেও অনেক মালয়েশিয়ান শ্রমঘন কাজ নিতে আগ্রহী নন।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, “স্থানীয় কর্মসংস্থান রক্ষা জরুরি, তবে যেসব কাজ স্থানীয়রা করতে চান না, সেখানে বিদেশি শ্রমিকের সময়মতো প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।”
তথ্যসূত্র: ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে