মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে এজেন্সি সংখ্যা কমাতে পারে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ১১:০৩

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেটের সুযোগ রোধে বাংলাদেশ সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তবে মালয়েশিয়া পক্ষ সীমিতসংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সিকে অনুমোদন দিতে চায়, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
২০ আগস্ট প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক বছরের অর্জন তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সব এজেন্সিকে সুযোগ দিতে চাইলেও মালয়েশিয়া পক্ষ সীমিত রাখার পক্ষে। আমরা চাই, অন্য শ্রম সরবরাহকারী দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও সমান সুযোগ পাক।”
বর্তমানে বাংলাদেশে নিবন্ধিত রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা প্রায় ২,৫০০। অতীতে মালয়েশিয়ায় প্রায় ১০০টি এজেন্সির সিন্ডিকেট কাজ করেছে, যা শ্রমিকদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। এবার নতুন করে শ্রমবাজার খোলার প্রক্রিয়ায় একই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে মালয়েশিয়ান নাগরিক আমিন নুরের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়, যিনি এফডব্লিউসিএমএস সফটওয়্যারের সঙ্গে যুক্ত এবং সীমিতসংখ্যক এজেন্সির মাধ্যমে ‘জিরো কস্ট’-এ কর্মী পাঠানোর দাবি করছেন। এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, “আমিন নুর মালয়েশিয়ার নাগরিক। তাকে দায়িত্ব দিলে বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তবে আমরা কেবল বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকেই তথ্য নিচ্ছি।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “যারা শ্রমিক পাঠানোর দায়িত্বে থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম প্রমাণিত হলে ভবিষ্যতে বিদেশযাত্রা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।”
এদিনই আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় ‘ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্ম (ওইপি)’ চালু করেছে সরকার। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিদেশগামী কর্মীরা বিনামূল্যে নিবন্ধন, ছাড়পত্র ও অন্যান্য সেবা নিতে পারবেন।
উপদেষ্টা জানান, পূর্বে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে এসব সেবার জন্য ৭৫০ টাকা খরচ হতো এবং নানা অনিয়ম ছিল। নতুন প্ল্যাটফর্মে বিএমইটি সরাসরি অনলাইনে ছাড়পত্র দিচ্ছে, ফলে সময় ও খরচ কমছে।
এছাড়া ২১টি জেলার ডিইএমও অফিস থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়