
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেছেন, এ বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫৬ জন বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার সীমা রয়েছে দেশটির। এ বছর বিদেশি কর্মী নেওয়ার এটাই সর্বোচ্চ সীমা।মালয়েশিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যম বারনামা এই খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে কলিং ভিসার কোটা উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। যা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চালু থাকবে।
ইতোমধ্যেই এই কোটার আওতায় দেশটিতে গেছেন কমপক্ষে ২০ লাখ বিদেশি শ্রমিক। এ বছরের বাকি সময়ের মধ্যে বাকি লাখখানেক কর্মী নিতে পারে মালয়েশিয়া। এসব বিদেশি শ্রমিক যাবেন ১৪টি কলিং কান্ট্রি থেকে। ফলে এ বছরই ২৪ লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে পারবেন এ খবর সত্য নয়।
তবে কলিং ভিসায় বাংলাদেশ এখনই কর্মী পাঠাতে পারবে কিনা বা খুললে কতজন যেতে পারবেন, তা নিয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কৃষি, বাগান ও খনি খাতসহ মোট ১৩টি উপখাতে শ্রমিক নিয়োগের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে হোলসেল ও রিটেইল, ল্যান্ড ওয়্যারহাউস, সিকিউরিটি গার্ড, মেটাল ও স্ক্র্যাপ ম্যাটেরিয়ালস, রেস্তোরাঁ, লন্ড্রি, কার্গো এবং বিল্ডিং ক্লিনিং খাত। তবে নির্মাণ খাতে নিয়োগ কেবল সরকারি প্রকল্পে সীমাবদ্ধ থাকবে।
কলিং ভিসার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবে শুধু খাতভিত্তিক অফিসিয়াল এজেন্সিগুলো। আগের মতো কোনো ব্যক্তি বা সরাসরি নিয়োগকর্তা স্বাধীনভাবে আবেদন করতে পারবে না। আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে তা অনুমোদন করবে ফরেন ওয়ার্কার্স টেকনিক্যাল কমিটি এবং পরে যৌথ কমিটি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চালু থাকা এই কোটা পরবর্তী সময়ে সীমিত করে দেশের মোট জনশক্তির ১০ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হবে। অর্থাৎ ২০২৬ সাল থেকে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ সামান্য কিছু কমতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় প্রায় ৫ লাখ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও নানা অনিয়ম ও কোটা বাণিজ্যের অভিযোগে তা মাঝপথেই স্থগিত হয়ে যায়। দেশের অগণিত কর্মী-শ্রমিক, জনশক্তি ব্যবসার সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীরা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার অপেক্ষায় আছেন। ১১-১৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালয়েশিয়া সফরের পর এই শ্রমবাজার আবার খোলার প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।