
মালয়েশিয়ায় স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজনের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড মরবিডিটি সার্ভে অনুযায়ী, দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৫৪.৪ শতাংশ, প্রায় ১ কোটি ১৪ লাখ মানুষ অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতায় ভুগছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাতুক সেরি ড. জুলকেফলি আহমদ জানান, ১৮ বছর ও তার ঊর্ধ্বে বয়সী জনগণের মধ্যে ৩২.৬ শতাংশ অতিরিক্ত ওজন এবং ২১.৮ শতাংশ স্থূল। পাশাপাশি ১৫.৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ২৯.২ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবণতা শ্রমবাজারে উৎপাদনশীলতা হ্রাস, স্বাস্থ্য ব্যয় বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষম জনশক্তির সংকট সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে, স্থুলতা ও ডায়াবেটিসের কারণে কর্মীদের অনুপস্থিতি, আগেভাগে অবসর গ্রহণ এবং চিকিৎসা ব্যয়ের চাপ বাড়ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুয়ালালামপুরে অতিরিক্ত ওজনের হার সর্বোচ্চ ৪০.৬ শতাংশ, আর পারলিসে স্থূলতার হার ৩২.৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রকজেন ইউনিভার্সেল নামে একটি ডিজিটাল স্বাস্থ্য উদ্যোগ চালু করেছে, যা পরিবারভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা, স্ক্রিনিং ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে স্থূলতা ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
মালয়েশিয়া ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক রিসেট হেলথের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে, যা NHS-এ ব্যবহৃত একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। সরকার আসন্ন বাজেটে স্থূলতা ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নতুন কর্মসূচি প্রস্তাব করেছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও শ্রমনীতি সমন্বয় করে একটি সমন্বিত কৌশল গ্রহণ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র: নিউ স্ট্রেইট টাইমস