মালয়েশিয়ায় অনিয়মিত অভিবাসন ইস্যুতে ঢাকার জোরালো অবস্থান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫৬

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অনিয়মিত বা ‘ডকুমেন্টবিহীন’ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিষয়ে দেশটির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছে বাংলাদেশ। ১২ আগস্ট রাতে কুয়ালালামপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “আমরা নিয়মিত মালয়েশিয়ায় আসছি, আন্তরিকভাবে আলোচনা করছি। মালয়েশিয়া অভিবাসন কল্যাণ নিয়ে আন্তরিক ও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে”।
ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, হাইকমিশনের প্রেস ফার্স্ট সেক্রেটারি সুফি আবদুল্লাহিল মারুফ, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এবং সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
শফিকুল আলম বলেন, অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে, তবে তা সমাধানে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি মানব পাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠককে “সফল ও ফলপ্রসূ” বলে উল্লেখ করেন আলম। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো উচ্চতায় পৌঁছাবে।
বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) নিয়ে আলোচনা শিগগিরই শুরু হবে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয়, যেখানে মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেয়।
তিন দিনের সফরে থাকা অধ্যাপক ইউনুস মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানান, যেন বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য দরজা খোলা থাকে। আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এখানকার শ্রমিকরা দুই দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে”।
অধ্যাপক ইউনুস বলেন, মালয়েশিয়ায় কাজ করে অনেক বাংলাদেশি দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করছেন, যা অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়ক। তিনি অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা পরিবার, শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
“এটা শুধু শ্রমিক পাঠানোর বিষয় নয়, বরং দুই দেশের জন্যই উপকারী” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তথ্যসূত্র: ঢাকা পোস্ট