
মালয়েশিয়ার পাম অয়েল শিল্পে কাজ করা অভিবাসী শ্রমিকরা এখনো ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। Business & Human Rights Resource Centre-এর এক সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, এই শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান কতটা দুর্বল এবং কীভাবে বর্তমান মজুরি কাঠামো তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।
গবেষণাটি তিনটি পাম অয়েল বাগানে ২৬ জন শ্রমিকের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি। এতে দেখা যায়, অধিকাংশ শ্রমিকের আয় মালয়েশিয়ার আইনি সর্বনিম্ন মজুরির নিচে, যা দিয়ে খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা ও সন্তানদের শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। অনেক শ্রমিককে নিজের কাজের সরঞ্জাম কিনতে হয়, যার খরচ আবার তাদের মজুরি থেকে কেটে নেওয়া হয়।
নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে মজুরি বৈষম্যও স্পষ্ট; তারা পুরুষদের তুলনায় কম আয় করেন, যদিও কাজের পরিমাণ প্রায় সমান। অধিকাংশ শ্রমিকের কোনো আনুষ্ঠানিক চাকরির চুক্তি নেই এবং অসুস্থতার দিনগুলোতে মজুরি কেটে নেওয়া হয়। ফলে তারা ঋণের ফাঁদে পড়ে যান এবং দারিদ্র্য প্রজন্মান্তরে চলতে থাকে।
গবেষণায় অ্যাঙ্কর মেথলজি ব্যবহার করে একটি ‘ন্যূনতম মজুরি’ নির্ধারণের চেষ্টা করা হয়েছে, যা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের জন্য একটি সম্মানজনক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে পারে। এতে খাদ্য, বাসস্থান, পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনটি মালয়েশিয়ার পাম অয়েল শিল্পে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি সামনে এনেছে এবং কোম্পানি ও সরকারের কাছে শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য মজুরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র: Business & Human Rights Resource Centre