
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ কাজাং ও সুনগাই টাংকাস এলাকায় পরিচালিত এক বৃহৎ অভিযানে ১২১ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে। জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়, যেখানে অভিযোগ ছিল বিদেশি শ্রমিকরা স্থানীয় দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে কাজ করছেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন অভিবাসন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট পরিচালক বাসরি ওসমান। তিনি জানান, ৮২ জন কর্মকর্তা অভিযানে অংশ নেন এবং মোট ৭১৯ জনকে যাচাই করা হয়, যার মধ্যে ৫৩৪ জন বিদেশি ও ১৮৫ জন মালয়েশিয়ান।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, সিরিয়া ও সুদান থেকে আগত ৯২ জন পুরুষ ও ২৯ জন নারী। যদিও অনেককে আটক করা হয়েছে, কিছু ব্যক্তি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন এবং তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, কিছু অভিবাসী এখনো মেয়াদোত্তীর্ণ ‘Labour Recalibration Programme’ স্লিপ ব্যবহার করছেন। বাসরি ওসমান সতর্ক করে বলেন, “এই কর্মসূচি এখন আর কার্যকর নয়। আমরা বর্তমানে শুধু ‘Migrant Repatriation Programme’ পরিচালনা করছি, যার মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন।”
অভিযানে দেখা যায়, কাজাংয়ের একটি ফুড কোর্টে কিছু বিদেশি রাঁধুনি ও ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করছেন। তাদের প্রকৃত পরিচয় ও মালিকানা যাচাইয়ে তদন্ত চলবে।
বাসরি আরো বলেন, “পরিদর্শনের সময় পাসপোর্টের ফটোকপি যথেষ্ট নয়। কর্মীদের উচিত i-Kad বহন করা, যা পরিচয়পত্র হিসেবে গ্রহণযোগ্য।”
এই অভিযান মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও শ্রমবাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: নিউ স্ট্রেইট টাইমস, মালয়েশিয়া