মালয়েশিয়ার খবর আগস্ট ২
মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজারে সুদিনের আভাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪১

দীর্ঘ অনিশ্চয়তা ও প্রশাসনিক জটিলতার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শর্তসাপেক্ষে পুনরায় উন্মুক্ত হওয়ার আভাস মিলেছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী নির্ধারিত কোটা, খরচ নিয়ন্ত্রণ ও নিয়োগ পদ্ধতি স্বচ্ছ রাখার শর্তে কর্মী পাঠানো আবারো শুরু হতে পারে। ১ আগস্ট এমন খবর ছেপেছে দৈনিক যুগান্তর।
সূত্র জানায়, মালয়েশিয়া সরকার ‘সিলেক্টিভ রিক্রুটমেন্ট’ মডেল চালু করতে চায়, যেখানে কেবল নিবন্ধিত এবং সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত এজেন্সির মাধ্যমেই কর্মী পাঠানো যাবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি খসড়া কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়, যাতে বাংলাদেশ সরকার কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করেছে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, ‘আমরা চাই একটি স্বচ্ছ ও বৈধ প্রক্রিয়ায় অভিবাসন হোক, যেখানে দালাল চক্রের কোনো সুযোগ থাকবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘কর্মীপ্রতি সর্বোচ্চ খরচ নির্ধারণ, মেডিকেল ও ভিসা প্রসেসিং সময় নির্ধারণ এবং নিয়োগকারী কোম্পানির বাস্তব যাচাই বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব বাংলাদেশ দিয়েছে।‘
বাংলাদেশ সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ মালয়েশিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুক তার শ্রমিকদের শোষণের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ সরকার এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের মধ্যে কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠকের সময় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা জানান, আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ধরে রাখতে হলে শুধু চুক্তি নয়, বাস্তবায়ন পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় প্রায় ৫ লাখ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও নানা অনিয়ম ও কোটা বাণিজ্যের অভিযোগে তা মাঝপথেই স্থগিত হয়ে যায়।