
ক্যান্সার চিকিৎসায় মালয়েশিয়া এখন আর শুধু একটি চিকিৎসা গন্তব্য নয়, এটি হয়ে উঠছে আশার আলো। ২০২৫ সালে দেশটি ক্যান্সার মোকাবিলায় যে নতুন চিকিৎসা উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে, তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন এআইভিত্তিক ডায়াগনস্টিক, স্টেমসেল থেরাপি এবং জেনেটিক চিকিৎসা ব্যবহার করছে, যা ক্যান্সার রোগীদের জন্য ব্যক্তিগত ও কার্যকর চিকিৎসা নিশ্চিত করছে।
বিশেষ করে স্টিমসেল ফার্স্ট গ্রুপ নামক প্রতিষ্ঠানটি CAR-T সেল থেরাপি, ইমিউনোথেরাপি এবং জিন থেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই থেরাপিগুলো লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, মায়েলোমা, ওভারিয়ান, কোলন এবং ব্লাডার ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়া এআইভিত্তিক ডায়াগনস্টিক টুল ব্যবহার করে মালয়েশিয়ার হাসপাতালগুলো ম্যামোগ্রাম, সিটি স্ক্যান ও এমআরআইর মাধ্যমে ক্যান্সার দ্রুত শনাক্ত করতে পারছে। থিংকার ল্যাব নামক একটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এআইভিত্তিক স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণ প্রযুক্তি চালু করেছে, যা বিশেষজ্ঞদের সমতুল্য নির্ভুলতা অর্জন করেছে।
মালয়েশিয়ার জেনেটিক বিশ্লেষণ ও পার্সোনালাইজড থেরাপি রোগীর জিনগত তথ্য বিশ্লেষণ করে সঠিক ও কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত চিকিৎসা নির্ধারণে সহায়তা করছে। এতে করে চিকিৎসা আরো দ্রুত, সাশ্রয়ী ও কার্যকর হচ্ছে।
এই উদ্ভাবনগুলোকে কেন্দ্র করে মালয়েশিয়া এখন আন্তর্জাতিক ক্যান্সার চিকিৎসা পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে। ২০২৩ সালে দেশটিতে ১৩ লাখের বেশি মেডিকেল ট্যুরিস্ট চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন, যার একটি বড় অংশ ক্যান্সার রোগী।
তথ্যসূত্র: বিজনেস টুডে মালয়েশিয়া