Logo
×

Follow Us

এশিয়া

বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশিদের কেন ফেরত পাঠাচ্ছে মালয়েশিয়া?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৮:০৭

বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশিদের কেন ফেরত পাঠাচ্ছে মালয়েশিয়া?

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশিদের একের পর এক ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। তবু কি সতর্ক হচ্ছেন বাংলাদেশিরা?  

মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম বার্নামার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে গত ২৪ জুলাই ১২৩ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়ার বর্ডার প্রটেকশন পুলিশ। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ঠিক কী কারণে বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পার হতে পারছেন না?

মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, মূলত ৩ থেকে ৪টি কারণে বাংলাদেশিদের ঢুকতে দিচ্ছে না মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন। 

কারণ এক

যাত্রীর সাথে পর্যাপ্ত রিংগিত না থাকা। মালয়েশিয়ায় গেলে সাথে রাখতে হবে ৫০০ থেকে ১ হাজার রিংগিত। পর্যাপ্ত রিংগিত না থাকলে ইমিগ্রেশন অফিসার ইমিগ্রেশনেই আটকে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।

কারণ দুই

হোটেল বুকিং না থাকা। মালয়েশিয়ায় গিয়ে কোথায় থাকবেন, তা যদি ইমিগ্রেশনে আপনি জানাতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনার মালয়েশিয়ার সফর সম্পর্কে সন্দেহ করবে অফিসার। ফলে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন আপনাকে আটকে দেবে। 

কারণ তিন

ভ্রমণের উদ্দেশ্য জানাতে ব্যর্থ হলে। আপনি ঠিক কী কারণে মালয়েশিয়া ঢুকতে চাচ্ছেন, তা পরিষ্কার করে বলতে হবে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের। অনেকেই মালয়েশিয়ায় ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চান, সেটা জানেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। ফলে মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের উদ্দেশ্য পরিষ্কার করে জানাতে না পারলে ইমিগ্রেশনেই আটকা পড়ে যাবেন। 

আরো জানা যাচ্ছে, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ছবি পাওয়া যাচ্ছে দেশটিতে ঢুকতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মোবাইল ফোনে। এমনটি হলেও সন্দেহের মুখে পড়তে হতে পারেন যে কেউ। 

এসব সন্দেহজনক আচরণের কারণে নট টু ল্যান্ড লিস্টে ফেলে অনেক বাংলাদেশিদের ঢুকতে দিচ্ছে না মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন।

এখন প্রশ্ন আসছে কী করলে ঢোকা যাবে মালয়েশিয়ায়? 

ইমিগ্রেশন পার হতে গেলে কিছু মৌলিক বিষয় সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতেই হবে। এটা কেবল মালয়েশিয়া নয়, অনেক দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যেমন: যে দেশে ভ্রমণ করবেন, সেই দেশটিতে ভ্রমণের খরচের জন্য পর্যাপ্ত মুদ্রা বা ডলার সাথে রাখা। ভ্রমণ শেষে যে ফিরে আসবেন, তার প্রমাণ হিসেবে রিটার্ন টিকিট সাথে রাখা। হোটেল বুকিংয়ের কপিও সাথে রাখতে হবে। ভ্রমণের উদ্দেশ্য পরিষ্কার ও প্রমাণযোগ্যভাবে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের জানাতে পারা। 

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে কাজ করার প্রবণতা বাড়ছে। এখানে জেনে রাখা ভালো, ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে মালয়েশিয়ায় কাজ করা দেশটির আইনে নিষিদ্ধ। তাছাড়া ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হলে কেউ যদি নিজ দেশে না ফেরেন, তাহলে সেই ব্যক্তি অবৈধ হয়ে যান। আর অবৈধ হয়ে ধরা পড়লে শাস্তি এবং তার পরিণতি মারাত্মক। জেল-জরিমানা হয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে। ফলে কাজের উদ্দেশে মালয়েশিয়ায় যেতে চাইলে সেটা বৈধ পথেই যেতে হবে। ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে কাজ করার চিন্তা বাদ দিতে হবে।

Logo