
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য সেরা সাতটি আবাসিক এলাকা চিহ্নিত করেছে ট্রাভেল প্লাস লেইসার এশিয়া, যেখানে জীবনযাত্রা, নিরাপত্তা, পরিবেশ ও নাগরিক সুবিধার ভারসাম্য রয়েছে।
মন্ট কিয়ারা
মালয়েশিয়ার প্রবাসীর শহর হিসেবে পরিচিত এই এলাকা। এখানে রয়েছে আন্তর্জাতিক স্কুল, বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট এবং আধুনিক শপিং মল। নিরাপদ পরিবেশ, সক্রিয় কমিউনিটি এবং পরিবারবান্ধব সুযোগ-সুবিধা এটিকে প্রবাসীদের জন্য আদর্শ করে তুলেছে।
বাঙ্গসার
একটি পাহাড়ি আবাসিক এলাকা, যেখানে রয়েছে চমৎকার খাবারের দোকান, বুটিক শপিং মল এবং শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র ১৫-২০ মিনিট দূরত্ব। এখানকার নাইটলাইফ এবং সংস্কৃতিমূলক পরিবেশ প্রবাসীদের আকর্ষণ করে।
দামানসারা হাইটস
কুয়ালালামপুরের বেভারলি হিলস নামে পরিচিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা, শান্তিপূর্ণ এবং অভিজাত এলাকা। এখানে রয়েছে প্যাভেলিয়ন দামানসারা হাইটস, দি ফাইভের মতো কমিউনিটি হাব। পরিবার ও পেশাজীবীদের জন্য উপযুক্ত।
তামা নতুন দার ইসমাইল
স্থানীয় সংস্কৃতির ঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় এখানে। অফিস, রেস্টুরেন্ট, বার এবং পার্কের সমন্বয়ে একটি প্রাণবন্ত পরিবেশ। বান্দার উতামা ও এসএসটু খুব কাছেই।
আম্পাং
কুয়ালালামপুর সিটির সবচেয়ে কাছের এলাকা। দূতাবাস, কফিশপ, পার্ক এবং জনপ্রিয় ক্যাফে (কেএলসিজি, ফক্স প্যারাডক্স) রয়েছে এখানে। বুকিট আম্পাং থেকে কুয়ালালামপুরের আইকনিক দৃশ্য দেখা যায়।
ওয়াংসা মাজু
নতুন প্রবাসীদের জন্য তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী। ওয়াংসা ওয়াক মল, AEON Big–এর মতো নাগরিক সুবিধা রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো এবং স্থানীয়রাও যথেষ্ট বন্ধুবাৎসল।
বাংসার সাউথ
আধুনিক অফিস ভবন, রেস্টুরেন্ট এবং অ্যাপার্টমেন্টের সমন্বয়ে একটি ব্যালান্সড জীবনযাত্রার সুযোগ।
এই এলাকাগুলো শুধু বসবাসের জন্য নয়, বরং মালয়েশিয়ার সংস্কৃতি, খাদ্য, এবং নাগরিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্যও উপযুক্ত। প্রবাসীদের জন্য কুয়ালালামপুর এখন শুধু কর্মস্থল নয়, বরং একটি দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে উঠছে।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল ও লেইজার এশিয়া