শ্রীলঙ্কা: সৈকতের শান্তি থেকে বন্যপ্রাণীর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৬

যদি তুমি এমন একটি গন্তব্য খুঁজে থাকো, যেখানে সাগরের নীল জলরাশি, চিতা বাঘের গর্জন, আর ১৯০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধ গুহা; সব একসাথে পাওয়া যায়, তাহলে শ্রীলঙ্কা তোমার জন্যই। এই দ্বীপটি এখন শুধু সৈকতপ্রেমীদের নয়, বরং পরিবার, বন্যপ্রাণীপ্রেমী ও ইতিহাস অন্বেষকদের জন্যও আদর্শ গন্তব্য।
পরিবার নিয়ে ভ্রমণ: হাতির দল, বৌদ্ধ মন্দির ও শান্ত সৈকত
শ্রীলঙ্কার মিনেরিয়া ন্যাশনাল পার্কে গ্রীষ্মকালে দেখা যায় বিশাল হাতির সমাবেশ, যা শিশুদের জন্য নিরাপদ ও আনন্দদায়ক। এরপর ক্যান্ডির টুথ রেলিক মন্দিরে বৌদ্ধ সংস্কৃতির ছোঁয়া, আর শেষ বিকেলে পূর্ব উপকূলের শান্ত সৈকতে বিশ্রাম; এই রুটে রয়েছে প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও বিশ্রামের ভারসাম্য।
ভ্রমণের সেরা সময়: জুলাই-আগস্ট
বন্যপ্রাণীর খোঁজে: চিতা বাঘ, হাতি ও সাঁতার কাটতে থাকা বুনো প্রাণী
শ্রীলঙ্কার ২৬টি জাতীয় উদ্যানে রয়েছে হাতি, স্লথ বিয়ার, হরিণ, বানর ও ৩৪টি স্থানীয় পাখির প্রজাতি। ইয়ালা ন্যাশনাল পার্কে রয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ ঘনত্বের চিতা বাঘ, আর গল ওয়া ন্যাশনাল পার্কে দেখা যায় হাতিদের সাঁতার কাটার দৃশ্য, যা পৃথিবীর অন্য কোথাও প্রায় নেই।
ভ্রমণের সেরা সময়: ফেব্রুয়ারি-মার্চ
ইতিহাস ও সংস্কৃতির অন্বেষণে: গুহা মন্দির, পাথুরে দুর্গ ও বাইসাইকেল ট্যুর
ডাম্বুলার গুহা মন্দিরে রয়েছে ১৫০+ বুদ্ধ মূর্তি ও প্রাচীন চিত্রকর্ম। পলোন্নারুয়ার ধ্বংসাবশেষে দেখা যায় ১২শ শতকের রাজপ্রাসাদ ও স্নানঘর। আর সিগিরিয়ার পাথুরে দুর্গে উঠে গেলে দেখা যায় এক বিস্ময়কর প্রাচীন রাজকীয় বাসস্থান।
ভ্রমণের সেরা সময়: জানুয়ারি-এপ্রিল
শ্রীলঙ্কা এখন আর শুধু সৈকতের দেশ নয়; এটি একটি বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতার দ্বীপ, যেখানে প্রকৃতি, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও রোমাঞ্চ একসাথে মিশে আছে।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল ও লেইজার এশিয়া