
মালয়েশিয়ায় স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা দিন দিন বাড়লেও নার্স সরবরাহ সে তুলনায় যথেষ্ট নয়। বার্ধক্য ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের স্বাস্থ্য খাত আজ কার্যকর জনবল সংকটে ভুগছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে দেশে ৮ হাজারের বেশি নার্সের ঘাটতি ছিল, যা স্বাস্থ্যসেবার মান ও কাভারেজে সরাসরি প্রভাব ফেলছে।
এ অবস্থায় মায়েডিকেয়ার চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন গত মাসে তাদের বার্ষিক তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে ডায়ালাইসিস নার্সের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালুর প্রস্তাব করেছে। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তেংকু দাতুক ইয়াকব খাইরা একটি দুই মাসের কার্যকরী প্রশিক্ষণ পদ্ধতির কথা জানান, যা সাধারণ নার্সদের ডায়ালাইসিস চিকিৎসায় দক্ষ করে তুলবে। এতে রেনাল নার্সদের উচ্চতর ক্লিনিকাল দায়িত্বে নিয়োজিত করা যাবে এবং ডায়ালাইসিস নার্সদের দিয়ে রুটিন সেবা পরিচালনা সম্ভব হবে।
প্রতি বছর মালয়েশিয়ায় ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার নতুন নার্সিং চাকরি সৃষ্টি হয়; বিশেষত প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও নার্সিং হোমে। সুবাং জয়া মেডিেল সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠান স্কলারশিপ দিয়ে নার্স তৈরি করছে, তবে মোট জনসংখ্যার তুলনায় তা যথেষ্ট নয়। প্রযুক্তির অগ্রগতির পরও মানবসম্পদের ঘাটতি রয়ে গেছে।
চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি প্রবাসে উচ্চ বেতনের সুযোগ দেশের দক্ষ রেনাল নার্সদের মধ্যপ্রাচ্য ও সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমানোর প্রবণতা বাড়িয়েছে। এর ফলে দেশে অর্থনৈতিক চাপ ও সেবায় অভ্যন্তরীণ ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।
মায়েডিকেয়ার ইতোমধ্যে ৩২ হাজারের রোগীর জন্য ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান, ১১টি সেন্টারে কিডনি চিকিৎসা বিস্তৃত করা এবং স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্রি হেলথ স্ক্রিনিং সুবিধা চালু করেছে। এ বছরের অনুদানে অর্জিত ৬ লাখ রিংগিত এসব কর্মসূচি আরো সম্প্রসারণে ব্যয় করা হবে।
মোট কথা, মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য খাতে নার্সিং সেক্টরে এখন দ্বৈত চিত্র- একদিকে কাজের অভাব নেই, অন্যদিকে জোগান ও দক্ষতা ধরে রাখার জন্য পরিকল্পিত নীতিগত সংস্কার ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা অপরিহার্য।
তথ্যসূত্র: দ্য স্ট্রেইট টাইমস