
মালয়েশিয়ায় গত জুন মাসে পাম অয়েলের উৎপাদন কমলেও অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও রপ্তানি হ্রাসের কারণে দেশটিতে পণ্যটির মজুত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ড (এমপিওবি) জানিয়েছে, জুন শেষে মজুত ২.৪১% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩০ হাজার টনে।
এই পরিস্থিতি মালয়েশিয়ার ভোজ্যতেল খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করেছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। কারণ, মালয়েশিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার।
গত মাসে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন ৪.৪৮% কমে ১৬ লাখ ৯০ হাজার টনে দাঁড়ায়। একই সময়ে অভ্যন্তরীণ ব্যবহার ৪৪% বেড়ে ৪ লাখ ৫৫ হাজার টনে পৌঁছায়। রপ্তানি কমে ১২ লাখ ৬০ হাজার টনে নামায় মজুত বেড়ে যায়।
পাম অয়েল খাতে মজুত বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন ও সরবরাহ চেইনে অতিরিক্ত জনবল প্রয়োজন হতে পারে। মালয়েশিয়ার কৃষি, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সরবরাহ খাতে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বাড়তে পারে। বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই খাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন, বিশেষ করে পাম অয়েল বাগান ও কারখানায়।
জুলাইয়ে রপ্তানি শুল্ক ৯.৫% থেকে কমিয়ে ৮.৫% করা হয়েছে, যার ফলে রপ্তানি বাড়তে পারে। অ্যামস্পেক এগ্রি মালয়েশিয়া জানিয়েছে, জুলাইয়ের প্রথম ১০ দিনে রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ১২% বেড়েছে। এতে সরবরাহ চেইনে শ্রমিক নিয়োগের সম্ভাবনা আরো জোরালো হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার যদি দক্ষতা উন্নয়ন ও ভাষা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিকদের প্রস্তুত করতে পারে, তাহলে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল খাতে নতুন কর্মসংস্থানের দরজা খুলতে পারে। একই সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে শ্রম চুক্তি নবায়ন ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিতে হবে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক বণিকবার্তা