
মালয়েশিয়া ২০২৮ সালের মধ্যে তাদের মেডিকেল ট্যুরিজম খাত থেকে আয় চার গুণ বাড়ানোর লক্ষ্যে এগোচ্ছে, যা দেশটির স্বাস্থ্যসেবা খাতে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে কম খরচে উন্নত চিকিৎসাসেবার চাহিদা বাড়ায় মালয়েশিয়া এই খাতকে জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করছে।
বর্তমানে মালয়েশিয়ার মেডিকেল ট্যুরিজম খাতের মূল্য প্রায় ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৮ সালের মধ্যে বেড়ে ৫.১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই প্রবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে উন্নত চিকিৎসা অবকাঠামো, আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল, ইংরেজিভাষী চিকিৎসক এবং তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী খরচ।
মালয়েশিয়ার সরকার এই খাতকে ১২টি জাতীয় মূল অর্থনৈতিক খাতের (NKEA) একটি হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং বিদেশি রোগীদের জন্য কর ছাড়, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির খরচে ছাড় এবং আন্তর্জাতিক ইউনিট স্থাপনে প্রণোদনা দিচ্ছে।
বিশেষ করে হৃদরোগ, অর্থোপেডিক, নিউরোলজি, বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা ও কসমেটিক সার্জারির ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে। পেনাং, কুয়ালালামপুর ও জোহর বাহরুতে অবস্থিত হাসপাতালগুলোতে বিদেশি রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট, অনুবাদক ও হোটেল-সদৃশ সেবার ব্যবস্থা রয়েছে।
এই প্রবণতা শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, বরং হোটেল, পরিবহন, পর্যটন ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতেও অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলছে। মালয়েশিয়ার এই কৌশলিক অগ্রযাত্রা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য পর্যটনের মানচিত্রে দেশটিকে আরো দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন রিপোর্ট