২০২৫ সালের ১২ জুন থেকে চীন তাদের ২৪০ ঘণ্টার (১০ দিনের) ভিসামুক্ত ট্রানজিট নীতি আরো ২১টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে মোট ৫৫টি দেশে সম্প্রসারণ করেছে। এই নীতির আওতায় যোগ্য দেশগুলোর নাগরিকরা চীনে প্রবেশ করে ১০ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়াই ব্যবসা, পর্যটন বা পারিবারিক সফরের উদ্দেশ্যে অবস্থান করতে পারবেন, যদি তারা তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়ার পথে চীনকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করেন।

এই নতুন নিয়মে যুক্ত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত

এছাড়া আগে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে:- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, জর্জিয়া, কাজাখস্তান, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি, পেরু, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ, মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ, আফ্রিকার কিছু দেশ

এই সুবিধা গ্রহণের জন্য নিম্নলিখিত শর্তাবলি পূরণ করতে হবে:

পাসপোর্ট: প্রবেশের তারিখ থেকে কমপক্ষে তিন মাস বৈধতা থাকতে হবে।

টিকিট: চীন থেকে তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়ার নিশ্চিত টিকিট থাকতে হবে।

প্রবেশ-পোর্ট: চীনের নির্ধারিত ৬০টি পোর্টের মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে।

আবাসন নিবন্ধন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে বা হোটেলে নিবন্ধন করতে হবে।

সীমাবদ্ধতা: চীনে প্রবেশের পরবর্তী ২৪০ ঘণ্টার মধ্যে তৃতীয় দেশে যাত্রা করতে হবে।

অবস্থানযোগ্য অঞ্চলসমূহ:

এই সুবিধার আওতায় চীনের ২৪টি অঞ্চলে ভ্রমণ করা যাবে, যার মধ্যে রয়েছে: বেইজিং, সাংহাই, গুয়াংঝু, শেনজেন, চেংডু, হেইলংজিয়াং, হুনান, হুবেই, জিয়াংসু, ফুজিয়ান।

এছাড়া হাইনান প্রদেশে ৩০ দিনের ভিসামুক্ত প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।

এই সুবিধা গ্রহণের জন্য নিশ্চিত টিকিট এবং নির্ধারিত পোর্টের মাধ্যমে প্রবেশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ধরনের ভুল বা শর্তভঙ্গের কারণে ভবিষ্যতে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

চীনের এই নতুন ভিসামুক্ত ট্রানজিট নীতি আন্তর্জাতিক পর্যটন ও ব্যবসায়িক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করবে। তবে, যাত্রার পূর্বে নির্ধারিত শর্তাবলি ও নিয়মাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত।

তথ্যসূত্র: ট্রাভেলোবিজ