Logo
×

Follow Us

এশিয়া

যেভাবে জাপানে স্থায়ী রেসিডেন্সি পাওয়া যায়

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১০:৪৮

যেভাবে জাপানে স্থায়ী রেসিডেন্সি পাওয়া যায়

জাপানে স্থায়ী বাসিন্দা (Permanent Resident) হওয়া অনেক বিদেশির জন্য একটি আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য। কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা, কর্মসংস্থানে স্বাধীনতা এবং আর্থিক সুবিধা প্রদান করে। ২০২৫ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জাপানে স্থায়ী রেসিডেন্সি পাওয়ার প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো: 

১. সাধারণ রুট (Standard Route

বাসস্থান: জাপানে টানা ১০ বছর বসবাস করতে হবে, যার মধ্যে অন্তত ৫ বছর কর্মসংস্থানে থাকতে হবে। 

আয়: বার্ষিক আয় কমপক্ষে ৩০ লাখ ইয়েন থাকতে হবে।

আচরণ: ভালো আচরণ ও আইন মেনে চলার প্রমাণ থাকতে হবে।

ভিসার মেয়াদ: বর্তমান ভিসার মেয়াদ কমপক্ষে ৩ বছর হতে হবে।

২. উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন পেশাজীবীদের জন্য দ্রুত রুট (Fast-Track for Highly Skilled Professionals)

পয়েন্ট সিস্টেম: জাপান একটি পয়েন্টভিত্তিক সিস্টেম ব্যবহার করে।

৭০+ পয়েন্ট: ৩ বছরের বসবাসের পর আবেদন করতে পারবেন।

৮০+ পয়েন্ট: ১ বছরের বসবাসের পর আবেদন করতে পারবেন।

পয়েন্ট নির্ধারণ: শিক্ষাগত যোগ্যতা, আয়, গবেষণায় অবদান, বয়স ও কাজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়। 

৩. বিবাহ রুট (Marriage Route)

বিবাহের মেয়াদ: জাপানি নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দার সাথে কমপক্ষে ৩ বছর বিবাহিত থাকতে হবে।

বাসস্থান: জাপানে কমপক্ষে ১ বছর বসবাস করতে হবে।

আয়: স্থিতিশীল আয়ের প্রমাণ থাকতে হবে।

৪. বিশেষ অবদান রুট (Special Contributions Route)

অবদান: যারা জাপানের সমাজ, অর্থনীতি বা সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন (যেমন: গবেষক, ব্যবসায়ী নেতা, ক্রীড়াবিদ), তারা দ্রুত রুটে স্থায়ী রেসিডেন্সির জন্য যোগ্য হতে পারেন। 

আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

- আবেদন ফর্ম: স্থায়ী রেসিডেন্সির জন্য নির্ধারিত আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।

- বাসিন্দা কার্ড ও পাসপোর্ট: বর্তমান বাসিন্দা কার্ড ও বৈধ পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।

- ছবি: সাম্প্রতিক ৪ সেমি × ৩ সেমি আকারের ছবি।

- আয় ও করের প্রমাণ: গত ৫ বছরের আয় ও কর পরিশোধের সনদপত্র।

- স্বাস্থ্য বীমা: জাপানের স্বাস্থ্য বীমা স্কিমে নিবন্ধনের প্রমাণ।

- গ্যারান্টর: একজন জাপানি নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা গ্যারান্টর হিসেবে থাকতে হবে। 

প্রক্রিয়াকাল ও ফি

- প্রক্রিয়াকাল: সাধারণত ৬-৮ মাস সময় লাগে, তবে কিছু ক্ষেত্রে ১৮-২৪ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

- আবেদন ফি: ৮,০০০ ইয়েন, যা রেভিনিউ স্ট্যাম্পের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। 

স্থায়ী রেসিডেন্সির সুবিধাসমূহ

- ভিসা নবায়নের প্রয়োজন নেই: স্থায়ী রেসিডেন্সি পাওয়ার পর ভিসা নবায়নের ঝামেলা থাকে না।

- কর্মসংস্থানে স্বাধীনতা: যে কোনো খাতে কাজ করার স্বাধীনতা থাকে।

- আর্থিক সুবিধা: ব্যাংক ঋণ পাওয়া সহজ হয়।

- স্থায়িত্ব: জাপানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের সুযোগ থাকে, এমনকি চাকরি পরিবর্তন করলেও।

গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

আবেদনপূর্ব প্রস্তুতি: আবেদন করার আগে সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত রাখুন।

গ্যারান্টর নির্বাচন: বিশ্বস্ত ও যোগ্য গ্যারান্টর নির্বাচন করুন।

আইনগত পরামর্শ: প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ইমিগ্রেশন আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

জাপানে স্থায়ী রেসিডেন্সি পাওয়া একটি সময়সাপেক্ষ ও বিস্তারিত প্রক্রিয়া, তবে সঠিক প্রস্তুতি ও যোগ্যতা থাকলে এটি অর্জন করা সম্ভব। উপরোক্ত তথ্যগুলো আপনাকে সেই পথে সহায়তা করবে। 

তথ্যসূত্র: মেট্রোপলিশের প্রতিবেদন 

Logo