ঢাকা-টোকিও বিমানের ফ্লাইট স্থগিতে ক্ষুব্ধ জাপান প্রবাসীরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ০৫:৪৮

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট স্থগিত করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাপান প্রবাসীরা। ফ্লাইট স্থগিত না করে বরং কাদের দুর্নীতির কারণে এটি লোকসান গুনছে, নাকি কোনো ষড়যন্ত্রের বলি হচ্ছে এই ফ্লাইট, তা তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
গত ১৮ মে টোকিওর একটি হোটেলে বাংলাদেশ কমিউনিটি জাপানের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় এসব ক্থা বলেন তারা। প্রায় ১৭ বছর বিরতির পর ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা-নারিতা রুটে আবারো সরাসরি ফ্লাইট চালু হলেও মাত্র দেড় বছরের মাথায় আগামী ১ জুলাই থেকে ফ্লাইটটি সাময়িক বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, ফ্লাইট স্থগিতে সরকার যে কারণগুলো উল্লেখ করেছে, তা সন্দেহজনক। উল্লেখ্য, চলমান হজ ফ্লাইট, উড়োজাহাজের স্বল্পতা ও ব্যবসায়িক বাস্তবতার কারণ দেখিয়ে গত সপ্তাহে ফ্লাইট সাময়িক বন্ধের ঘোষণা দেয় বিমান বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে বিএনপির জাপান শাখার সভাপতি মীর রেজাউল করিম বলেন, ‘দুর্নীতির কারণেই এই ফ্লাইটে লোকসান গুনতে হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করা দরকার।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কারো চক্রান্তে যেন এই ফ্লাইট বন্ধ না হয় সেই দিকে নজর দিন। অন্যথায় আমরা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
গত ৬ মাসে প্রতিটি ফ্লাইটেই অন্তত ৯০ শতাংশ যাত্রী থাকত উল্লেখ করে জাপানের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ড. মাসুম জাকির বলেন, ‘বাংলাদেশের এখন অনেক শিক্ষার্থী আসছেন জাপানে। তাছাড়া জব ভিসা ও অন্যান্য পেশায়ও জাপানে বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে সরাসরি ফ্লাইটে প্রবাসীরা উপকৃত হচ্ছিলেন। ব্যবসা-বাণিজ্যও সম্প্রসারিত হচ্ছিল। কিন্তু এই ফ্লাইট বন্ধে ক্ষতির শিকার হবেন তারা।’
বাংলাদেশ থেকে এই ফ্লাইটের মাধ্যমে শাক-সবজি, মাছসহ বিভিন্ন পণ্য সহজেই আসতে পারছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘ঢাকায় বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, জাপানিজ ইকোনমিক জোন, মেট্রোরেল, মাতারবাড়ী গভীর স্থলবন্দর, জাইকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজেও জাপানিজরাও সরাসরি এই ফ্লাইটের সুবিধা পাচ্ছিলেন।’ কিন্তু এই ফ্লাইট স্থগিত হওয়ায় আবারো ভোগান্তি যেমন বাড়বে, তেমনি দেশের সুনামও ক্ষুণ্ণ হবে বলে জানান মতবিনিময় সভার বক্তারা।
ফ্লাইট চালু রাখার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ব্যবসায়ী এম ডি এস ইসলাম নান্নু।
তিনি বলেন, ‘ফ্লাইট বাতিলের পেছনে প্রশাসনে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসররা জড়িত কিনা তদন্ত করা উচিত।’
তথ্যসূত্র: দৈনিক কালের কণ্ঠ