
১। বোয়েসেলের মাধ্যমে প্রথম দফায় মালয়েশিয়া যাবেন ৭ হাজার ৯৬৪ কর্মী। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তারা মালয়েশিয়ার কাজ করার সুযোগ পাবেন।
২। মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বৈঠক করেছেন দেশটির দুই মন্ত্রীর সাথে। বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ড. আসিফ নজরুল জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মালয়েশিয়া এক থেকে দেড় লাখ বিদেশি শ্রমিক নিতে পারে। লোক নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেবে।
৩। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কর্মীরা যাতে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পান, সে বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
৪। যারা দেশটিতে অবৈধ হয়েছেন তাদের বৈধ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। মালয়েশিয়া বলেছে, বৈধকরণ প্রক্রিয়া মাঝেমধ্যে হয়। তবে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি সম্ভব নয়।
৫। সিকিউরিটি গার্ড, কেয়ার গিভার, নার্স নেওয়া যায় কিনা কিংবা স্কিল্ড ওয়ার্কার নেওয়া যায় কিনা- এ ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে মালয়েশিয়া।
৬। বাংলাদেশসহ ১৪টি সোর্স কান্ট্রি থেকে ১২ লাখ কর্মী নিতে চায় মালয়েশিয়া। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজারের বেশি কর্মী বিনা খরচে দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পাবে। এসব কর্মী নিয়োগেও বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেবে মালয়েশিয়া।
৭। কাগজপত্রবিহীন অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরার সময়সীমা বাড়িয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। ১৬ মে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে শুরু হয়ে এ সুযোগ থাকবে আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
৮। প্রত্যাবাসনের এ কর্মসূচির মাধ্যমে জেল বা বিচারের মুখোমুখি হওয়া ছাড়াই নিজ দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন অবৈধ প্রবাসীরা। তবে অপরাধের ধরন অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৫০০ রিংগিত জরিমানা দিতে হবে।