CNA News এর নিবন্ধ
বোয়েসেলের মাধ্যমে প্রথম দফায় মালয়েশিয়া যাবেন ৭,৯৬৪ কর্মী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ১৮:০২

মালয়েশিয়া সফররত প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও মালয়েশিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এবং মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিমের মধ্যে আলাদা বৈঠক হয় বৃহস্পতিবার। সেই বৈঠকে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় দেশ সম্মত হয়েছে যে, প্রথম দফার এই ৭,৯৬৪ কর্মীর নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড (BOESL)। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এনিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর বেইজড সংবাদমাধ্যম CNA News।
একই সাথে মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ আবার শুরু হবে, তবে তাতে প্রতারণা ও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, যারা গত বছর একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার আগে দেশটিতে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়ে মালয়েশিয়ায় কাজের সুযোগ হারিয়েছিলেন, তারা শিগগিরই আবার সে সুযোগ পাবেন।
মালয়েশিয়ায় ভিসা পাবার পরও বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৭ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা ফ্লাইটে উঠতে পারেননি। বাংলাদেশ সরকার এক বছরের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়া সরকারকে এই কর্মীদের প্রবেশের অনুমতি দিতে আহ্বান জানিয়ে আসছিল।
২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হাইকমিশন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিনের মধ্যে এ বিষয়ে বৈঠক হয়। এরপর একটি যৌথ টেকনিক্যাল গ্রুপ গঠন করা হয়, যার সদস্য ছিলেন মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা।
২০২৩ সালের ৩১ মে থেকে মালয়েশিয়া বাংলাদেশি কর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর আগে হাজার হাজার বাংলাদেশি কর্মী দেশটিতে যাওয়ার জন্য প্রতারণার শিকার হন এবং ৫ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত অগ্রিম পরিশোধ করেও বৈধ চাকরি না পেয়ে অবৈধভাবে কাজ করতে বাধ্য হন।
সাইফুদ্দিন তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, “এই বৈঠকে বিদেশি কর্মী ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নানা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল অভিবাসন ব্যয় কমানোতে সরকারের প্রতিশ্রুতি।” সাইফুদ্দিন আরো বলেন, “বাংলাদেশি কর্মীদের শোষণ ও চাকরির নামে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বৈঠকের পর কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন নিশ্চিত করে যে, ১৭ হাজারেরও বেশি আটকে পড়া কর্মীর মধ্যে ৭ হাজার ৯৬৪ জনকে প্রথম দফায় নিয়োগ দিতে সম্মত হয়েছে মালয়েশিয়া। এসব কর্মী শর্ত পূরণ করে সম্পূর্ণ অভিবাসন ব্যয় পরিশোধ করার পরও সময়মতো মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারেননি।
এই বৈঠকগুলোতে ১৭ হাজার কর্মীর তালিকা পর্যালোচনা ও যাচাই করা হয় এবং প্রথম দফার জন্য ৭ হাজার ৯৬৪ জনকে বাছাই করা হয় বলে জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। যদিও এই কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিত নয় কবে থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করতে পারবেন।
সূত্র: সিএনএ নিউজ