
দক্ষ বিদেশি পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করতে দক্ষিণ কোরিয়া নতুন একটি অভিবাসন কর্মসূচি চালু করেছে, যার নাম "টপ টিয়ার ভিসা প্রোগ্রাম"। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে উচ্চ প্রযুক্তি খাতে দক্ষ বিদেশিদের জন্য স্থায়ী বসবাসের সুযোগসহ দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুবিধা প্রদান করা হবে।
যোগ্যতা:
- বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনো একটি থেকে মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন।
- কমপক্ষে ৮ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে অন্তত ৩ বছর বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ কোম্পানির কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- অথবা পিএইচডি ডিগ্রিসহ কমপক্ষে ৫ বছরের গবেষণা অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ৩ বছর বিশ্বমানের কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠানে থাকতে হবে।
- দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো উচ্চ প্রযুক্তি খাতের কোম্পানির সঙ্গে চাকরির চুক্তি থাকতে হবে।
- বার্ষিক আয় দক্ষিণ কোরিয়ার মাথাপিছু জিএনআইর তিন গুণ বা তার বেশি হতে হবে, যা প্রায় ১৪৯.৮৬৫ মিলিয়ন কোরিয়ান ওন।
যদি বার্ষিক আয় জিএনআইর চার গুণ (প্রায় ১৯৯.৮২ মিলিয়ন কোরিয়ান ওন) হয়, তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতার শর্ত শিথিল করা হতে পারে।
ভিসার সুবিধাসমূহ:
- F-2 রেসিডেন্ট ভিসা প্রদান, যা দক্ষিণ কোরিয়ায় মুক্তভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ দেয়।
- তিন বছর পর স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার যোগ্যতা।
- পরিবারের সদস্যদের (স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান) সঙ্গে নিয়ে আসার সুযোগ।
- ইমিগ্রেশন ভিআইপি কার্ড পাওয়ার সুযোগ, যা দ্রুত ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া ও বিমানবন্দরে অগ্রাধিকার নিরাপত্তা চেকের সুবিধা প্রদান করে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া উচ্চ প্রযুক্তি খাতে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে চায় এবং দক্ষ বিদেশি পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে চায়।
তথ্যসূত্র: ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস