Logo
×

Follow Us

এশিয়া

পেহেলগাম হামলায় হুমকির মুখে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৪

পেহেলগাম হামলায় হুমকির মুখে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন পর্যটকরা। দিল্লির একাধিক ট্রাভেল এজেন্সির বরাত দিয়ে দেশটির বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরগামী প্রায় ৯০ শতাংশ বুকিং বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

কনাট প্লেসের আউটার সার্কেলে অবস্থিত শঙ্কর মার্কেটের সোয়ান ট্রাভেলার্স নামের একটি ট্রাভেল সংস্থার কর্ণধার গৌরব রাঠি জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২৫ জন পর্যটক জম্মু ও কাশ্মীরে ভ্রমণ বাতিলের অনুরোধ করেছেন।

গৌরব আরো জানান, অধিকাংশ পর্যটক আগামী মাসে কাশ্মীরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এখন তারা বুকিং বাতিলের অনুরোধ করছেন।

এর আগে ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠী পর্যটকদের ওপর গুলি চালায়। হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা অন্তত ২৬।

এ হামলার ঘটনায় প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে নয়াদিল্লি। হামলার এক দিন পর ২৩ এপ্রিল ভারত ঘোষণা দিয়েছে, সার্ক ভিসার অধীনে পাকিস্তানের কোনো নাগরিককে ভারতে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না। এ ভিসার অধীনে কোনো পাকিস্তানি যদি দেশটিতে থেকেও থাকেন, তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যকার সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত সরকার। এর পাশাপাশি দুই দেশের সীমান্তবর্তী স্থল বন্দ আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়, দিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনে নিযুক্ত সব সামরিক উপদেষ্টাকে বহিষ্কার করা হয় এবং দুই দেশের হাইকমিশনগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তার সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ করার নির্দেশ দেয়া হয়।

এদিকে পেহেলগামে অস্ত্রধারী হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, এই ঘটনায় তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ বলেন, পেহেলগামের হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো যোগসূত্র নেই। এখানেই থেমে থাকেননি খোয়াজা। তিনি বলেন, নাগাল্যান্ড থেকে কাশ্মীর, ছত্তিশগড়, মণিপুর ও দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে বিদ্রোহ চলছে। মনে হচ্ছে, এই হামলায় কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই, বরং স্থানীয় বিদ্রোহের ফল।

তথ্যসূত্র: অনলাইন নিউজপেপার

Logo