বিশ্বজুড়ে সংঘাত ও অস্থিরতা বাড়লেও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ এখনো শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০২৫ সালের গ্লোবাল পিস ইনডেক্স (GPI) অনুযায়ী আফ্রিকার শীর্ষ ১০ শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বিজনেস ইনসাইডার আফ্রিকা এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
গ্লোবাল পিস ইনডেক্সে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী শান্তি সূচক ০.৩৬ শতাংশ কমেছে। গত ১৭ বছরে এটি ১৩তম পতন। ১৬৩টি দেশ নিয়ে করা এই সূচকে ৭৪টি দেশ উন্নতি করেছে, আর ৮৭টি দেশের অবস্থার অবনতি হয়েছে। বিশ্বে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে আইসল্যান্ড শীর্ষে রয়েছে, আর সবচেয়ে অশান্ত দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো রাশিয়া তালিকায় নেমে গেছে।
সাহারা-দক্ষিণ আফ্রিকায় শান্তি সূচক সামান্য ০.১৭ শতাংশ কমেছে। তবে মহাদেশের অর্ধেক দেশ উন্নতি করেছে, আর বাকি অর্ধেকের অবস্থার অবনতি হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সীমান্ত সংঘাত আফ্রিকার শান্তি ও স্থিতিশীলতার বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
শীর্ষ ১০ শান্তিপূর্ণ দেশ:
১. মরিশাস: স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক শাসন ও অভ্যন্তরীণ/বাহ্যিক সংঘাতে জড়িত না থাকার কারণে শীর্ষে রয়েছে।
২. বতসোয়ানা: শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা ও কম সামরিকীকরণ।
৩. নামিবিয়া: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা সূচকে উন্নতি।
৪. গাম্বিয়া: শান্তিপূর্ণ সামাজিক পরিবেশ ও কম সংঘাত।
৫. সিয়েরা লিওন: শাসন ব্যবস্থায় উন্নতি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি।
৬. ঘানা: গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী হওয়ায় তালিকায় জায়গা পেয়েছে।
৭. সেনেগাল: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা সূচকে অগ্রগতি।
৮. লাইবেরিয়া: যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠন ও শান্তি বজায় রাখার প্রচেষ্টা।
৯. মাদাগাস্কার: আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও স্থিতিশীলতা ধরে রেখেছে।
১০. জাম্বিয়া: সামাজিক নিরাপত্তা ও শাসন ব্যবস্থায় উন্নতির কারণে তালিকায় রয়েছে।
এই দেশগুলো আফ্রিকার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষ করে মরিশাস, বতসোয়ানা ও নামিবিয়া শক্তিশালী শাসন ব্যবস্থা ও কম সামরিকীকরণের মাধ্যমে শান্তি বজায় রেখেছে। পশ্চিম আফ্রিকার ঘানা, সিয়েরা লিওন, সেনেগাল ও লাইবেরিয়া দেখিয়েছে যে রাজনৈতিক সংস্কার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর।
logo-1-1740906910.png)