
লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। ২০ আগস্ট লিবিয়ার গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে বন্দিশালা থেকে ১৭৫ জন বাংলাদেশিকে গ্রহণ করার সময় তিনি এ আহ্বান জানান। সংবাদ মাধ্যম ইনফো মাইগ্রেন্টস বাংলা এ খবর দিয়েছে।
বাংলাদেশি অভিবাসীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈধ ও নিরাপদ পথে বিদেশ যেতে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই৷ প্রত্যেক বাংলাদেশিকে নিজ নিজ এলাকায় অনিয়মিত অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি৷ একই সঙ্গে দেশে ফিরে মানব পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেন লিবিয়ায় বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত৷ এ ক্ষেত্রে দূতাবাসের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও বাংলাদেশিদের আশ্বস্ত করেন তিনি৷
লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, অনিয়মিত অভিবাসনের ফলে শুধু ব্যক্তির আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতিই হয় না, বরং তার পরিবার ও সমাজও মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হয়৷
তিনি আরো বলেন, অনিয়মিত অভিবাসনের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয় এবং নিয়মিত পথে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগও সীমিত হয়ে আসে৷
দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে নিয়মিত পথে বিদেশ গেলে প্রবাসীরা সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং দেশের অর্থনীতিতে মূল্যবান অবদান রাখতে পারবেন বলেও মন্তব্য করেন আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার৷
দূতাবাস জানিয়েছে, এর আগে গানফুদা আটক কেন্দ্রে আটক বাংলাদেশি অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে দূতাবাস৷ পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের জন্য ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়৷ পরবর্তী সময়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও আইওএমের সার্বিক সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে৷
এদিকে, বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ১৭৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন৷ ২১ আগস্ট বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে তারা ঢাকায় পৌঁছান। লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ৃসহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।