পশু কোরবানি ছাড়াই এবার ঈদ উদযাপন হবে মুসলিম যে দেশটিতে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১০:১০

শতবর্ষের ঐতিহ্যের বাইরে গিয়ে প্রথমবারের মতো মরক্কোবাসী এবার ঈদুল আজহা পালন করবেন পশু কোরবানি ছাড়াই। সাত বছর ধরে চলা তীব্র খরার পরিপ্রেক্ষিতে রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ পশু কোরবানি রোধের নির্দেশ দিয়েছেন।
৭ জুন পালিত হতে যাওয়া ঈদুল আজহা মরক্কোর সবচেয়ে কঠিন সংকটের মধ্যে পড়েছে। দীর্ঘস্থায়ী খরা এবং কৃষিপণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় পশুপালন হার ৩৮ % কমে গেছে দেশটিতে।
পশু কোরবানির জন্য দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ওপর চাপ কখনো এত তীব্র হয়নি; তাই ঈদের দিন ক্রয়-বিক্রয় ও পশু কোরবানি রোধে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকারের তরফে পশুর আমদানি কর ও ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ১ লাখ পশুর আমদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্টভাবে কোরবানি বন্ধের কারণ তুলে ধরা হয়েছে প্রাকৃতিক ও আর্থিক সংকট।
এদিকে এ সিদ্ধান্তে নিম্নবিত্ত খামারিদের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়ছে; ঈদের সময় একত্রে পশু বিক্রি না হওয়ায় আর্থিকভাবে লোকসানে পড়েছে কৃষক-খামারিরা।
তাছাড়া অনেক পরিবার দামি পশুর পরিবর্তে সস্তা পোল্ট্রি ও মাছের দিকে ঝুঁকছে। এমনকি স্যুপার মার্কেটে পোল্ট্রি চাহিদা বাড়ায় মুরগির দামও বেড়েছে।
ইসলামি মতবেদের অন্তর্গত পশু কোরবানি বাধ্যতামূলক নয়, বিশেষ করে যখন আর্থিক বা প্রাকৃতিক কারণে তা সম্ভব। ধর্মীয় নেতারা বলছেন, ‘যারা কোরবানি করতে পারে না, তাদের ওপর দায়িত্ব নেই’। একই সাথে যারা করতে পারে, তাদের দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহ দিচ্ছেন।
মরক্কোতে খরা ও মুদ্রাস্ফীতির মুখে পশু কোরবানি এবার অনুচিত হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। প্রথার বাইরে গিয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন নিয়মিত ঈদ পালন, যাতে রাষ্ট্র ও ধর্মীয় নেতৃত্ব ঈদের ভাব ও ঐতিহ্য রক্ষাসহ সামাজিক সংবেদনশীলতাও বজায় থাকে।
তথ্যসূত্র: বিওএল নিউজ