
মিয়ানমার ও লাওস থেকে মানব পাচারের শিকার নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু করেছে রুয়ান্ডা সরকার। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচারের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় আন্তর্জাতিক শ্রম পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভুক্তভোগীরা উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভনে পড়ে মিয়ানমারে গিয়ে জালিয়াতির স্বীকার হন। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে প্রায় ১২০,০০০ মানুষ মিয়ানমারে পাচার হয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চে চীনা সরকার ৪৩ হাজার পাচার হওয়া কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে।
লাওস মূলত একটি উৎস দেশ, যেখানে নারী ও কিশোরীরা যৌন শোষণের জন্য পাচার হয়। অনেক লাওস নাগরিক থাইল্যান্ডে গিয়ে শ্রম শোষণের শিকার হন। ২০২৩ সালে সংগঠিত অপরাধ সূচকে মানব পাচারকে লাওসের সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক চক্র ও স্থানীয় দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা জড়িত।
রুয়ান্ডার এই উদ্যোগ মানব পাচার প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মিয়ানমার ও লাওসের মতো দেশে মানব পাচারের শিকার হওয়া নাগরিকদের ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা মানবাধিকার রক্ষায় রুয়ান্ডার অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে