বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সঠিক পরিকল্পনা ও সচেতনতা অভিবাসনকে নিরাপদ, সম্মানজনক ও টেকসই করে তোলে।
প্রথমেই নিশ্চিত করতে হবে বৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট। ভিসার ধরন, মেয়াদ ও শর্তাবলি ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। ভিসা পাওয়ার পর প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে অভিবাসন ঋণের জন্য আবেদন করা যেতে পারে, যা বিদেশ যাত্রার খরচে সহায়তা করে।
দ্বিতীয়ত, মেডিকেল পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। সরকার অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে এবং নির্ধারিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এতে কর্মক্ষেত্রে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয় এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
তৃতীয়ত, বিমানের টিকিট সংগ্রহ ও গন্তব্য দেশের তথ্য জানা আবশ্যক। ভ্রমণের তারিখ, সময় ও রুট নিশ্চিত করে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। পাশাপাশি গন্তব্য দেশের আবহাওয়া, সংস্কৃতি, আইন-কানুন ও কাজের পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।
চতুর্থত, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে। যেমন- পাসপোর্ট, ভিসা, চাকরির চুক্তিপত্র, মেডিকেল রিপোর্ট, স্মার্ট কার্ড, প্রশিক্ষণ সনদ ইত্যাদি। এসব কাগজপত্রের একাধিক কপি তৈরি করে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে।
পঞ্চমত, জরুরি যোগাযোগের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। বিদেশে অবস্থানকালে দূতাবাস, হাইকমিশন, BMET, WEWB, GEMS-এর হেল্পলাইন নম্বর ও ঠিকানা সংগ্রহ করে রাখতে হবে। প্রয়োজনে এসব সংস্থার সহায়তা নেওয়া যাবে।
সবশেষে, পরিবারকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানিয়ে যেতে হবে। নিজের অবস্থান, কর্মস্থল, যোগাযোগের মাধ্যম সম্পর্কে পরিবারকে জানানো উচিত, যাতে প্রয়োজনে তারা দ্রুত যোগাযোগ করতে পারে।
এই প্রস্তুতিগুলো গ্রহণ করলে একজন কর্মী বিদেশে গিয়ে নিরাপদে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে পারেন এবং পরিবার ও দেশের জন্য সম্মানজনকভাবে অবদান রাখতে পারেন।
logo-1-1740906910.png)