Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

বিদেশ থেকে কতটুকু সোনার গহনা আনলে শুল্ক দিতে হবে না

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৯

বিদেশ থেকে কতটুকু সোনার গহনা আনলে শুল্ক দিতে হবে না

সোনার দাম দিন দিন বেড়ে চলেছে। বর্তমানে এক ভরি ২২ ক্যারেট সোনার দাম ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্তের জন্য সোনার গহনা কেনা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে বিদেশ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনার গহনা আনলে শুল্ক ছাড়ের সুবিধা রয়েছে, যা অনেকের জন্য স্বস্তির খবর বলছে দৈনিক প্রথম আলো।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৫ সালের বাজেটে ‘অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালা’ জারি করেছে। এই বিধিমালায় বলা হয়েছে, বিদেশফেরত একজন যাত্রী বছরে একবার সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম সোনার অলংকার আনতে পারবেন শুল্ক ছাড়াই। অর্থাৎ প্রায় ৮ ভরি ১০ আনা সোনার গহনা শুল্কমুক্তভাবে দেশে আনা যাবে। একইভাবে, রুপার অলংকার আনতে পারবেন সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম পর্যন্ত। তবে সোনা বা রুপা যাই হোক না কেন, একই ধরনের গহনা ১২ পিসের বেশি আনা যাবে না।

শুধু অলংকার নয়, যাত্রীরা চাইলে শুল্ক দিয়ে সোনার বারও আনতে পারেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বছরে একবার একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ১০ তোলা ওজনের একটি সোনার বার আনতে পারবেন, যার জন্য প্রতি তোলায় ৫ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে।

বিমানবন্দরে নামার পর যাত্রীদের ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম পূরণ করতে হয়, যেখানে নাম, পাসপোর্ট নম্বর, ফ্লাইট নম্বর, জাতীয়তা এবং কোন দেশ থেকে এসেছেন—এসব তথ্য দিতে হয়। যদি শুল্কযোগ্য কোনো পণ্য থাকে, তার বিবরণও দিতে হয়। তবে যদি সোনার অলংকার ১০০ গ্রাম এবং রুপার অলংকার ২০০ গ্রামের কম হয়, তাহলে ফরম পূরণ করার প্রয়োজন নেই। এই সীমার মধ্যে থাকলে যাত্রীরা গ্রিন চ্যানেল দিয়ে সরাসরি বের হতে পারেন।

বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার ফলে বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়ছে। দেশে সোনা সরাসরি আমদানি না হওয়ায় এবং কমোডিটি এক্সচেঞ্জে বেচাকেনা না থাকায় ব্যাগেজ রুলসের মাধ্যমে আসা সোনাই মূলত বাজারে সরবরাহের বড় উৎস। ফলে বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশে সোনার দাম কিছুটা বেশি থাকে। এছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় দাম আরো বেড়েছে।

বিশ্ববাজারে সোনার ভবিষ্যৎ মূল্য নিয়েও আশাবাদী পূর্বাভাস রয়েছে। গোল্ডম্যান স্যাকস জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ৯০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। ব্যাংক অব আমেরিকা গ্লোবাল রিসার্চের মতে, আগামী বছর তা ৫ হাজার ডলারে পৌঁছাবে।

এই পরিস্থিতিতে যারা বিদেশ থেকে দেশে ফিরছেন, তাদের জন্য সোনার গহনা শুল্ক ছাড়ে আনার সুযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হয়ে উঠেছে। তবে নির্ধারিত সীমা ও নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

Logo