কুয়েতে ভিজিট ভিসা বিলম্ব বা বাতিল হওয়ার সাধারণ কারণ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১২
কুয়েতে ভিজিট ভিসার আবেদন নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেকেই প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও এক মাসের বেশি সময় ধরে কোনো আপডেট পাচ্ছেন না। এতে পরিবারে পুনর্মিলন বা ভ্রমণের পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আরব টাইমসের এক প্রতিবেদন বলছে, ভিসা বিলম্বের প্রধান কারণ হলো প্রশাসনিক জটিলতা, কাগজপত্রে অসংগতি, নিরাপত্তা যাচাই এবং সিস্টেম আপগ্রেড। অনেক সময় আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের মিল না থাকা, সম্পর্কের প্রমাণ যথাযথ না হওয়া বা স্পন্সর সংক্রান্ত তথ্য ঘাটতির কারণে আবেদন আটকে যায়।
২০২৫ সালের আগস্টে কুয়েত সরকার ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে ন্যূনতম আয়সীমা তুলে দিয়েছে। আগে যেখানে মাসিক আয় ৪০০-৮০০ কুয়েতি দিনার প্রয়োজন হতো, এখন বৈধ বাসিন্দারা চতুর্থ ডিগ্রি আত্মীয় ও তৃতীয় ডিগ্রি বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
তবে নিরাপত্তা যাচাই, আগের ভিসা লঙ্ঘন, সিস্টেমে ত্রুটি বা নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যাচাইয়ের কারণে ভিসা প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। সাধারণত ভিজিট ভিসা ৭-১০ কর্মদিবসে সম্পন্ন হওয়ার কথা, কিন্তু বাস্তবে অনেকেই ৪-৬ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন। ট্যুরিস্ট ই-ভিসা ৩-৫ কর্মদিবসে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও সিস্টেম আপডেটের সময় তা বিলম্বিত হয়।
যাদের আবেদন দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে আছে, তাদের জন্য পরামর্শ হলো:
- কুয়েত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ই-ভিসা পোর্টালে আবেদন স্ট্যাটাস চেক করুন
- স্পন্সর বা প্রতিনিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করুন
- কাগজপত্রে ভুল বা ঘাটতি থাকলে তা সংশোধন করে পুনরায় আবেদন করুন
- আবেদন বাতিল হলে কারণ জানতে চেয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন
প্রবাসীরা চাইছেন, কর্তৃপক্ষ যেন স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়- কী কারণে ভিসা বিলম্ব বা বাতিল হয়, কতদিনে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়। এতে ভ্রমণ পরিকল্পনা সহজ হবে এবং অনিশ্চয়তা কমবে।
logo-1-1740906910.png)